Description
“বাবা, আমরা সকলে কী মরে যাবো !”
সাত বছরের ছোট্ট আদ্রিয়ানা প্রশ্ন করে তার বাবা রবার্তো কাভেলাকে।
একটা উত্তর যদিও সে দিয়েছে। তবে এইরূপ সান্তনা সে দিয়ে চলেছে বিগত এক ঘন্টা ধরে।
চার্চের একটি গোপন ঘরে লুকিয়ে থাকা দুটো প্রাণ প্রত্যক্ষ করেছে তাদের গ্রামে হয়ে চলা হত্যালীলা। চারিদিকে জ্বলছে আগুন আর সেই আগুনের তাপে আকাশ যেন হয়ে উঠেছে লাল।
সকল গ্রামবাসী লড়াই করেছে তাদের সাধ্যমত। উপস্থিত সেনার দল তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ঝাঁঝরা করে চলেছে পৈশাচিক দুঃস্বপ্নকে। কিন্তু তাতে ফল কিছু হয়নি। বরং ধ্বংসলীলা ত্বরান্বিত হয়েছে।
প্রাণীগুলো তাদের হিংস্রতা ছড়িয়ে দিতে চায়, ভয়ের সংজ্ঞা পাল্টাতে চায় তারা। স্থানীয় লোকেরা একটা নাম রেখেছে প্রাণীগুলোর, “প্যাসাদাইয়া”। স্প্যানিশ ভাষায় যার মানে দুঃস্বপ্ন।
হঠাৎ চারিদিকের হাহাকারের মধ্যে চার্চের দরজায় শোনা যায় ধাক্কার আওয়াজ। একবার, দুবার…আর তার পরেই ধাতব পাত লাগান মোটা কাঠের দরজাটি ভেঙে ছড়িয়ে যায় চার্চের ভিতরে।
ভিতরে প্রবেশ করে প্রায় আট ফুট উচ্চতার সেই চেনা বিভীষিকা। তার সাদা ফ্যাকাশে শরীরে লেগে আছে টাটকা মানুষের রক্ত। কঙ্কালসার মাথা উপরের দিকে তুলে কিছু গন্ধ নেওয়ার চেষ্টা করছে সে। ধারাল দাঁতের ফাঁক দিয়ে এখনও ঝুলছে একটি মানুষের হাত। হঠাৎ তার মুখ থেকে পরে যায় সেই হাতের টুকরো। পিছন থেকে বেরিয়ে আসা চারটি লম্বা হাতের সামনের দিকে ভাগ হয়ে যাওয়া অংশগুলো যেন বারবার খোলে আর বন্ধ হয়। সে কী কিছু আন্দাজ করেছে?
হঠাৎ এক ভয়ংকর মিহি কান ফাটানো আওয়াজ বেরিয়ে আসে তার মুখ থেকে এবং এর পরেই…!
Reviews
There are no reviews yet.