Description
‘ভয়’ শব্দটার একটা বিস্তার আছে। এ যেন রক্তবীজ! এক স্তরের ভয় নিয়ে কাজ করলে, পাশে উঠে আসছে আরেক ধরনের ভয়। এর বিনাশ নেই। ভয় বলতে প্রথমেই ‘ভূত’ শব্দ মাথায় আসে। এই ভূতেরই কত রকম নাম, চরিত্র! তার ফ্যামিলি ট্রি দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। এর পাশেই আসে নানান ধরনের অপদেবতার আয়োজন। তাদের কতরকম নাম, কত রকম চরিত্র, কত রকম বিনাশবুদ্ধি! এর অন্যদিকে দেখা যায়, ধর্ম অনুযায়ী ভৌতিক, অলৌকিক সব ব্যাপার। হিন্দুদের ভূত, অপদেবতা, মুসলমানদের জিন ইত্যাদি প্রচুর আছে। আর খ্রিস্টান জগতে ভূতের কারবার রীতিমতো ঈর্ষা জাগায়। এভাবে বিভিন্ন স্তরে চোখ রাখতে গিয়ে যখন এ বিষয় নিয়ে যথেষ্ট শিক্ষিত হয়েছি, ভাবছি, তখন মানুষের চরিত্রের কালো ছায়া আঘাত করে। যা পড়েছি, যা চিনেছি এদ্দিনে,—- সব ভুয়ো মনে হয়। মানুষের চাইতে ভয়ানক বুঝি আর কিছু নেই। এখানে এসে আবিষ্কার করি এক অন্য ধাঁচের ভয়- কে। এই ভয় কঙ্কাল-নৃত্য দেখায় না, কবর থেকে উঠে আসে না। কিন্তু ভয় দেখাতে পাশে বসে হাসিমুখে তোমার সুখ্যাতি করতে করতে তোমার কফি কাপে সায়ানাইড ফেলে দিতে পারে!
ভয়ের নানা ধরনের ছবি নিয়ে লেখা “হরর সমগ্র”-তে প্রথম ও শেষ কথা হয়ে ওঠে ” ভয়”!



Reviews
There are no reviews yet.