Description
পিউমিস! চমক মজুমদারের লেখা এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিটি যখন অন্তরীপ পাবলিকেশন-এর দপ্তরে জমা পড়েছিল, তখন এর শিরোনাম দেখে মোটেও আন্দাজ করার চেষ্টা করিনি এর ভিতরের পাতায় কী ‘চমক’ অপেক্ষা করে রয়েছে। পড়তে পড়তে ক্রমশ দেখেছি, পেঁয়াজের খোসার মত খুলে গেছে তার অভ্যন্তরের পরত। পেঁয়াজের কথা মনে আসার আরেকটা কারণ এই কাহিনীর ঝাঁঝ। সেই ঝাঁঝালো অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্তমান সমাজ ও সময়ের কিছু জ্বলন্ত বাস্তব।
পিউমিস-এর অর্থ ঝামাপাথর। দেখতে এক হলেও অন্য পাথরের চরিত্রের থেকে আলাদা। জলে ভাসতে পারে। যেন পাথরের ছদ্মবেশে অন্য কিছু। স্লিপার সেলের মতোই অন্য পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।
পিউমিস একটি ক্রাইম থ্রিলার। অপরাধ, অপরাধী, অপরাধ-জগত– অনুপুঙ্খভাবে এসেছে এখানে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে থাকা অপরাধী, ছদ্মবেশি কুচক্রী, পরিস্থিতির ফেরে ফেঁসে যাওয়া বা অপরাধ করতে বাধ্য হওয়া মানুষ এবং দক্ষ প্রশাসকগণ, সবাই ছড়িয়ে আছেন এর পাতায় পাতায়। বইটিতে সমাজের কিছু তিক্ত সত্য গল্পের চরিত্রদের কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে এসেছে। বিভিন্ন বয়স ও মনোভাবের এমন কিছু মানুষ এই কাহিনির কেন্দ্র জুড়ে আবর্তিত হয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে যাঁদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা বেশ কষ্টকর। তবে জেন-নেক্সটের নব্য প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল, মধ্যবয়স্ক প্রশাসনিক পদাধিকারী, সাংসারিক বাধ্যবাধকতা মানিয়ে নেওয়া নারী, দুর্ঘটনায় প্রিয়জন হারানো পুরুষ, সমকামী যুবক অথবা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কোনও রহস্যময় মানুষ– এমন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রগুলির ভবিতব্য কিন্তু অদ্ভুতভাবে এসে এক মোহনায় মিশে যায় কাহিনির অন্তে।
এত আলাদা পরিমণ্ডলের মানুষদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সমাজ এবং সামাজিক রীতিনীতিকে দেখার চোখও আলাদা। অবশ্যম্ভাবীরূপে তাঁদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে দ্বন্দ্ব, কখনও বাহ্যিক, কখনও আভ্যন্তরীণ। এই দ্বিধা দ্বন্দ্বের টানাপোড়েনে পড়া মানুষগুলোর অসহায়তা, তাকে কাটিয়ে ওঠা, আবার কখনও বা পরিস্থিতির চাপের কাছে তাঁদের নতজানু হওয়া– এর সবটাই লেখক দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন এই কাহিনিতে।
পিউমিস-এর অর্থ ঝামাপাথর। দেখতে এক হলেও অন্য পাথরের চরিত্রের থেকে আলাদা। জলে ভাসতে পারে। যেন পাথরের ছদ্মবেশে অন্য কিছু। স্লিপার সেলের মতোই অন্য পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।
পিউমিস একটি ক্রাইম থ্রিলার। অপরাধ, অপরাধী, অপরাধ-জগত– অনুপুঙ্খভাবে এসেছে এখানে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে থাকা অপরাধী, ছদ্মবেশি কুচক্রী, পরিস্থিতির ফেরে ফেঁসে যাওয়া বা অপরাধ করতে বাধ্য হওয়া মানুষ এবং দক্ষ প্রশাসকগণ, সবাই ছড়িয়ে আছেন এর পাতায় পাতায়। বইটিতে সমাজের কিছু তিক্ত সত্য গল্পের চরিত্রদের কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে এসেছে। বিভিন্ন বয়স ও মনোভাবের এমন কিছু মানুষ এই কাহিনির কেন্দ্র জুড়ে আবর্তিত হয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে যাঁদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা বেশ কষ্টকর। তবে জেন-নেক্সটের নব্য প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল, মধ্যবয়স্ক প্রশাসনিক পদাধিকারী, সাংসারিক বাধ্যবাধকতা মানিয়ে নেওয়া নারী, দুর্ঘটনায় প্রিয়জন হারানো পুরুষ, সমকামী যুবক অথবা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কোনও রহস্যময় মানুষ– এমন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রগুলির ভবিতব্য কিন্তু অদ্ভুতভাবে এসে এক মোহনায় মিশে যায় কাহিনির অন্তে।
এত আলাদা পরিমণ্ডলের মানুষদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সমাজ এবং সামাজিক রীতিনীতিকে দেখার চোখও আলাদা। অবশ্যম্ভাবীরূপে তাঁদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছে দ্বন্দ্ব, কখনও বাহ্যিক, কখনও আভ্যন্তরীণ। এই দ্বিধা দ্বন্দ্বের টানাপোড়েনে পড়া মানুষগুলোর অসহায়তা, তাকে কাটিয়ে ওঠা, আবার কখনও বা পরিস্থিতির চাপের কাছে তাঁদের নতজানু হওয়া– এর সবটাই লেখক দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন এই কাহিনিতে।
Reviews
There are no reviews yet.