রাধাপ্রসাদ গুপ্ত
তাকে ‘রাধাপ্রসাদ গুপ্ত’ না বলে ‘শাঁটুলবাবু’ বললে আরও খোলতাই হয়।
নিজের কাজের চেয়েও নিজের জীবনযাপনে শাঁটুলবাবু আজও বাঙালির একটি বিলুপ্ত যুগের প্রতীক হয়ে আছেন। বাঙালির সে যুগ ছিল ব্যক্তিত্বের বহুবর্ণে চিত্রিত। নায়ক হওয়ার বাসনা সে যুগে সবাইকে তাড়া করে বেড়াত না। অনেকেই দিব্য আনন্দে থেকে যেতেন পার্শ্বচরিত্রে। যেমন শাঁটুলবাবু। জীবনভর কত বিচিত্র বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, চিন্তা করেছেন। সে সব চিন্তা-চর্চাকে বলা যেতে পারে অনেকটা অহৈতুকী সাধনা। কোথাও লিখবেন বলে বা বক্তৃতায় বলবেন বলে প্রস্তুতির পড়াশোনা নয়, নিজেরই আনন্দে কিছুটা যেন রেনেসাঁস-যুগের উন্মুখতা নিয়ে পড়াশোনা। হয়তো সে জন্যই সেই মনীষার ফসল মিলেছে কমই। তাঁর প্রথম বই যখন প্রকাশিত হয়েছে, তখন তিনি পঁয়ষট্টির কোঠায়, অবসর নিয়েছেন জনসংযোগের চাকরি-জীবন থেকে। বইয়ের নাম কলকাতার ফিরিওয়ালার ডাক আর রাস্তার আওয়াজ। অভিনব বিষয়। আরও অভিনব তাঁর লেখার ধরন। ছত্রে ছত্রে গভীর পড়াশোনার ছাপ। তবু ভূমিকাতেই বলে দিলেন, “আমি এই বই পণ্ডিতি দেখানোর জন্যে নয় মজার জন্যে লিখেছি।”
Showing the single result