Description
স্বরবিভঙ্গ (বিষের সুর – ২)
স্বরবিভঙ্গ উপন্যাসটি দাক্ষিণাত্যের কিছু অলৌকিক তথা ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে রচিত। সপ্তদশ শতাব্দীর দাক্ষিণাত্যে প্রবল রাজনৈতিক সংঘাত; দস্যু, গুপ্তচর ও গুপ্তঘাতক সঙ্কুল ভয়ংকর ঐতিহাসিক পটভূমি।
শ্রীরঙ্গপত্তনম থেকে বিপদসঙ্কুল পথে, প্রভূত বিচিত্র, রহস্যময় ঘটনাবলীর মধ্যে একাকী গোপন রাজকার্যে কোদাগুর পথে যাত্রা করেছে তরুণী নৃত্যাঙ্গনা কৌশিকী। গন্তব্যে কোন ভয়ংকর বিপদ প্রতীক্ষা করে আছে তার জন্য? কে সেই রহস্যময় পুরুষ, যে তার প্রতীক্ষায় রত, যার জাদুমন্ত্রে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় ভাস্কর্যে?
***
নিজের সুনিপুণ অঙ্গুলী কৌশিকীর কপোল, চিবুক, ও গ্রীবার রেখায় ধীরে ধীরে বুলিয়ে দিলেন ভাস্কর। সেই স্পর্শে শিহরিত হল তার বরতনু, শরতের শেষের প্রথম হিমের পরশের মত।
“তোমার ওই দুইটি সুন্দর চোখে শৃঙ্গার, লাস্য, শঙ্কা, প্রশ্রয়, সব অভিব্যক্তি যখন একের পর এক খেলা করে যাচ্ছে, তখন কি সেই খেলায় স্বরমালিকার সব কয়টি স্বরই ফুটে উঠছে না নীরবে? এইভাবে তো তোমার চোখের ভাষাতেই ফুটে উঠছে রাগমালা। ধ্বনির প্রশ্ন উঠছে কোথায়, হে প্রেরণাময়ী?”
স্বেদাক্ত হয়ে উঠেছে কৌশিকী। এ কি আদৌ তার একান্ত পরিচিত ভাস্কর-সম্রাট? নাকি অন্য কেউ? ইনি কি ভাস্কর, সঙ্গীতকার, নাকি জাদুকর? কৌশিকীর দেহসৌষ্ঠবের প্রেরণায় রচিত অপরূপ ভাস্কর্যও কি ঠিক এইভাবেই ফুটে উঠবে স্বরমালিকা হয়ে?
***
কাবেরী নদীর নির্জন তীরে, পাহাড়ী জঙ্গলের গভীরে, লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘনিয়ে উঠলো রহস্য। সঙ্গীত, নৃত্য-বিভঙ্গ, শৃঙ্গার, বিশ্বাসঘাতকতা, অতিপ্রাকৃত রহস্য ও রোমাঞ্চকর ঘটনার আবর্তে মিশে গিয়েছে দাক্ষিণাত্যের ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়ের কাহিনী।
পুনশ্চ: স্বরবিভঙ্গ উপন্যাস লেখকের বিষের সুর উপন্যাসের দ্বিতীয় খণ্ড। বিষের সুর উপন্যাসে উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত আধারিত যেই রহস্য বর্ণিত হয়েছে, স্বরবিভঙ্গ উপন্যাস তারও গভীরে নিয়ে যাবে পাঠক পাঠিকাকে, যদিও একটি স্বতন্ত্র উপন্যাস হিসেবেও এটি বিবেচিত হতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.