Description
‘রাতের আকাশে একটা লাল চাঁদ ভাসছে। তার লালচে আভায় মাখামাখি হয়ে আছে চরাচর। তবে গোটা নয়, আধখাওয়া চাঁদ। সত্যিই কি অমন খুবলে খাওয়া রক্তাক্ত চাঁদ হয়! নাকি তার মনের ভুল!…গভীর বিস্ময়ে সে বলে, “হ রে বউ, অমন অক্ত কেন রে চাঁদের গায়ে? লালচে জোছনা নাকি লাল অক্ত কেউ ঢেলি দেছে চরাচরে। দেখলেই কেমন গা ছমছম করে, তাই না!”
ঝুনু দেখে তাদের ঘরদোর, উঠোন, দরমার বেড়া, বেড়া পেরিয়ে সুড়কির পথ, নয়ানজুলি, রাংচিতার ঝোপ, আদিগন্ত বিস্তৃত মাঠঘাট সব আজ ভেসে যাচ্ছে লালচে জ্যোৎস্নায়। দরমার বেড়ার ধারে ভিড় করে থাকা জাম, খিরিশ, জারুল, বেল আর মহানিমের গাছগুলোর মাথায় জ্যোৎস্না লেগে আছে। ওদের ডালপালার গভীরে ঝুলে থাকা প্রলম্বিত অন্ধকার যেন লুকিয়ে রেখেছে কোন প্রহেলিকা। সেই থোকা থোকা অন্ধকারের ভিতর যেন কার ছায়াশরীর নড়েচড়ে ওঠে। গাছের ডালপালার আড়ালে কেউ কি ওঁত পেতে আছে…’
ভয় আর রহস্যের উপাদান আমাদের চারপাশের প্রকৃতির মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। মর্ত্যলোক আর অমর্ত্যলোকের মধ্যেও যেন রয়েছে এক অর্ধস্বচ্ছ পর্দা। দিনের আলোয় যা সুন্দর মায়াময়, রাতেই তা হয়ে ওঠে ভয়ংকর। এই বইয়ের সাতটি কাহিনী আমাদের আটপৌরে জীবনের ভিতরে যে অতলস্পর্শী আঁধার সমুদ্র রয়েছে তার ভিতরে আপনাকে টেনে নেবে। স্বস্তি দেবে না।
Reviews
There are no reviews yet.